শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
আজীবন গণতন্ত্রের পূজারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক, দক্ষ ও নিষ্ঠাবান শাসক; তুখোড় পার্লামেন্টারিয়ান ও বিজ্ঞ আইনজীবী। তিনি ১৯২০ সালে বিলেত থেকে ব্যারিষ্টারী পাশ করে দেশে প্রত্যবর্তন করেন এবং ঐ বছর তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের হাত ধরে কংগ্রেস অনুসারী হিসাবে রাজনৈতিক জীবনে অনুপ্রবেশ করেন এবং কলকাতাস্থ খিদিরপুর বন্দর ও ডক শ্রমিকদের সংগঠিত করে- ট্রেডইউনিয়ন গড়ার মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তাঁর হাতেখড়ি ঘটে। যদিও পরে অভিভক্ত বাংলায় মুসলিমলীগ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিষ্টার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর ছোট ছেলে হোসেন সোহরাওয়ার্দী ১৮৯২ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর কলকাতার এক অভিজাত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবী সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রী লাভ করার পর সোহরাওয়ার্দী ১৯১৩ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে বিলেতগমন করেন এবং ১৯১৮ সালে সোহরাওয়ার্দী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি, রাষ্ট্র বিজ্ঞান ও ইংরেজী সাহিত্যে এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। অত:পর ১৯২০ সালে বিলেত থেকে ‘বার এট ল’ ডিগ্রী লাভ করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। সোহরাওয়ার্দী স্বদেশে এসে ১৯২১ সালে তদানীন্তন মন্ত্রী স্যার আব্দুর রহিমের কন্যা নিয়াজ ফাতেফা কে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের তিন বছরের মাথায় তাঁর স্ত্রী মৃত্যু বরণ করেন।
[দ্বিতীয় খন্ড আগামী বৃহস্পতিবার]
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্